হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ‘কয়েক ডজন’ কাতিউশা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে! দখলদারদের সামরিক বাহিনীর বরাতে এ খবর জানিয়েছে ইহুদিবাদী গণমাধ্যম।
ইহুদিবাদী গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ রকেটের আঘাতে সাফাদের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের "আইন জেইটিম" ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরইয়ার ব্যারাকের চারপাশে ব্যাপক মাত্রায় আগুন ধরে যায়।
একইদিন ভূমধ্যসাগরের উপকূলে ইসরায়েলি আল-নাকুরা নৌ ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী ড্রোনের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসময় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও সেনা হতাহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আনুমানিক ৩৫টি রকেট লেবানন থেকে ইসরায়েলে ঢুকেছে। এয়ার ডিফেন্স সফলভাবে বেশিরভাগ রকেট আটকে দিয়েছে। কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ত্রাস হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ‘শত্রুর আক্রমণের জবাবে তাদের যোদ্ধারা নাবাতিয়েহ শহর এবং সোহমোর গ্রামে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল কমান্ডের প্রধান বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।’
২৮ জুন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিরকাত রিশা এলাকায় ইসরায়েলের গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জামগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে সরাসরি আঘাত হানে হিজবুল্লাহ। এছাড়া, আজ বিকেল ৩টা ৪ মিনিটে আল-তাইহাত ট্রায়াঙ্গেলের আশপাশে ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি সমাবেশকে লক্ষ্য করে রকেট দিয়ে সরাসরি আঘাত হানা হয় বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি নৃশংস অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে নিয়মিত গোলা বিনিময় চলছে। হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার সামি তালেব আবদুল্লাহকে ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করার পর থেকে গুলি বিনিময় তীব্রতর হয়েছে।